প্রকাশিত: Sun, Jul 9, 2023 3:25 PM
আপডেট: Mon, May 12, 2025 11:35 PM

[১]পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সহিংসতায় নিহত ১৪

সাজ্জাদুল ইসলাম: [২] বোমা, গুলি, ছুরিকাঘাত, ছাপ্পা ভোট, ব্যালট ছিনতাই সহ বিভিন্ন সহিংসতায় এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচনের আগের ৩০ দিনে সহিংসতায় নিহত হয়েছিল আরো অন্তত  ১৮ জন। এসব সহিংসতার মধ্য দিয়েই শনিবার সকাল থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ৬৬.২৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। সহিংসতার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস ও ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) পরস্পরকে দায়ি করছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম। আনন্দবাজার   

[৩] সহিংস পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ভোট চলাকালীন গুলি চালাতে হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। এদিন ভোট গ্রহণকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা পশ্চিমবঙ্গ। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে নদিয়ায় কেন্দ্রীয় বাহিনী শূন্যে গুলি ছোঁড়ে। ১০ থেকে ১৫ রাউন্ড গুলি চলেছে বলে জানিয়েছে গণমাধ্যমগুলো।

[৪] রাজ্যের তিন স্তরবিশিষ্ট পঞ্চায়েত নির্বাচনে ২২টি জেলার ৬৩ হাজার ২২৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসন, ৯ হাজার ৭৩০টি পঞ্চায়েত সমিতি আসন এবং ৯২৮টি জেলা পরিষদ আসনের জন্য ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে।

[৫] আনন্দবাজার অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগ থেকেই হামলা, সংঘর্ষ চলছিল। নির্বাচনের দিন এগুলো প্রকট আকার ধারণ করে। রাজ্যের অসংখ্য জায়গায় গুলির ঘটনা ঘটে। মুর্শিদাবাদে দুই তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস এবং সিপিএমের কর্মীরা।

[৬] দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়েও হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। ভাঙড়ে চকমরিচায় দুই আইএসএফ কর্মীকে গুলি করার অভিযোগ তোলা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে ক্ষমতাসীনরা। কোচবিহারের ফলিমারি গ্রাম পঞ্চায়েতে ভোটেরহাট ৪/৩৮ নম্বর বুথে বিজেপির এজেন্টকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া কোচবিহারের সিতাইয়ে নির্বাচনের বুথে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে। এ সময় ব্যালট পেপারও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। মালদহের মানিকচকে তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগ তোলা হয়েছে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। উত্তর দিনাজপুরের চাপড়ায় তৃণমূলের এক কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

[৭] ২০২৪ সালে ভারতে হবে লোকসভা নির্বাচন। আর এই নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কেন্দ্রের ক্ষমতায় থাকা বিজেপি লোকসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গে শক্ত অবস্থান তৈরির চেষ্টা করছে। ফলে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। সম্পাদনা: ইমরুল শাহেদ